Aikyashree Scholarship applications are currently open. (ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে আবেদন চলছে। কিভাবে করবেন আবেদন?)

রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক স্কলারশিপ শুরু করেছেন। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সমাজের পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য একাধিক জনমুখী স্কলারশিপ শুরু করেন। এই সমস্ত স্কলারশিপগুলি শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তরকারী বিপ্লব এনেছে। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ আর্থিক ভাবে দুর্বল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত পড়ুয়াদের শিক্ষায় ঝোঁক বাড়াচ্ছে এই স্কলারশীপ গুলি দ্বারা। এই স্কলারশিপ গুলির মধ্যে অন্যতম হল ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ।

রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপুর্ন স্কলারশিপ হল ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের বৃত্তির টাকায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে। সংখ্যালঘু শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় এই স্কলারশিপ। স্কুল থেকে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের টাকায় পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই স্কলারশিপের সুবিধা:- ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে পড়ুয়াদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি বৃত্তির টাকা জমা করা হয়। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে একজন বৃত্তিপ্রাপক বছরে নূন্যতম ৪ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে বৃত্তির টাকার পরিমাণ বিভিন্ন। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকত্তর স্তরে বৃত্তির পরিণাম ভিন্ন। এমনকি সায়েন্স, আর্টস এবং কমার্স স্ট্রিমের ক্ষেত্রেও বৃত্তির টাকার পরিমাণ ভিন্ন।

আরও পড়ুন:- দীর্ঘদিন সুস্থ ভাবে বাঁচতে চান? মেনে চলুন শুধু এই একটি নিয়ম।

এই স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা:- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত (যেমন – মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিক) ছাত্র-ছাত্রীরায আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় অবশ্যই ২.৫ লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই রাজ্যের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টার্ড স্টুডেন্ট হতে হবে।

এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:- আবেদনকারীর আধার কার্ড, সর্বশেষ পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রমাণপত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোর্সের প্রমাণপত্র, ব্যাংক একাউন্ট ও মোবাইল নং।

এই স্কলারশিপের উদ্দেশ্য:- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা আর্থিক সহায়তা করা এই স্কলারশিপের আসল উদ্দেশ্য। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানব উন্নয়ন ঘটানো। প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটানো হল এই স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষার উন্নতি ঘটলেই সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষের পরবর্তী প্রজন্মের উন্নতি ঘটবে। তাই শিক্ষায় অনুপ্রেরণা দিতেই রাজ্য সরকার এই স্কলারশিপের বাস্তবায়ন করেছেন।

এই স্কলারশিপে আবেদনের পদ্ধতি:- আবেদনকারীরা শুধুমাত্র অনলাইন মাধ্যমে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এই স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয়। প্রায় দুমাস ধরে এই স্কলারশিপের আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ চলতে থাকে। আবেদনকারীকে অবশ্যই সঠিক তথ্য ও নথি দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রে ভুল থাকলে স্কলারশিপ বাতিল হতে পারে। এই স্কলারশিপ সম্পর্কে আরও জানতে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন। অথবা নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *