Traffic rules fine amount penalty details know now latest (ট্রাফিক আইন ভাঙলে কোন ক্ষেত্রে কত জরিমানা দিতে হয়? জেনে নিন এখনই)

বাইক চালাতে আমরা অনেকেই ভালবাসি। বর্তমান যুব সমাজের কাছে বাইক চালানো একটা ভালোবাসার মতো। দামী দামী বাইক নিয়ে তারা সারাদিন ঘুরতে পেলেই খুশি। অনেকে আবার নিজেদের পেশার জন্য বাইক ব্যবহার করেন। এছাড়া বাড়ির কাজেও বাইক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু বাইক চালকদের সব চেয়ে বড় বিপদ হল ট্রাফিক আইন। সময় বাঁচাতে গিয়ে অনেকেই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেন। আবার, অজান্তেও অনেক সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা হয়ে যায়। আর, এই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলেই কিন্তু জরিমানা দিতে হয়। পকেট থেকে টাকা দিয়ে জরিমানার কেস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এখন দেখে নেওয়া যাক, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে বাইকারদের কত জরিমানা দিতে হয়। বাইক চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে জরিমানা হিসাবে বাইক চালকের বিরুদ্ধে ৫০০০ টাকার চালান কাটা হয়।

বীমাহীন বাইক চালকের ক্ষেত্রে জরিমানা দুই রকমের। এই ক্ষেত্রে প্রথমবার অপরাধের জন্য জরিমানা ২০০০ টাকা কিংবা ৩ মাসের কারাদণ্ড। কিন্তু এই অপরাধ যদি পরবর্তী ক্ষেত্রে হয় তাহলে তার জরিমানা ৪০০০ টাকা এবং ৩ মাসের কারাদণ্ড।

ড্রাংক এন্ড ড্রাইভ অর্থাৎ মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর ক্ষেত্রে প্রথম অপরাধে জরিমানা ১০০০০ টাকা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড। অন্যদিকে, একই অপরাধের পরবর্তী ক্ষেত্রে জরিমানা হয় ১৫০০০ টাকা এবং ২ বছরের কারাদণ্ড।

বিপদজনক ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রেও জরিমানা অনেক বেশি। প্রথমবার অপরাধ হলে জরিমানা ৫০০০ টাকা এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে একই অপরাধ ৩ বছরের মধ্যে করলে ১০০০০ টাকা জরিমানা।

অতিরিক্ত গতিতে বাইক চালানোর ক্ষেত্রেও কাটা হয় চালান। এই ক্ষেত্রে জরিমানা হিসাবে ১০০০ টাকার চালান কাটা হয় আর পরবর্তী ক্ষেত্রে একই অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা হয় ২০০০ টাকা।

আরও পড়ুন:- ভারতে লঞ্চ হল আইফোন ১৭, এক ঝলকে দেখে নিন কি কি ফিচারস থাকছে।

বাইক চালক হেলমেট না পরলে ১০০০ টাকা জরিমানা অথবা তিনমাসের কারাদণ্ড। এমনকি এক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সম্ভবনা থাকছে।

কোন বাইক চালক সিগন্যাল জাম্পিং করলে তার প্রথম অপরাধে জরিমানা ১০০০ টাকা এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে একই কাজ করলে জরিমানা ২০০০ টাকা।

বাইক চালকের বাইকের দূষণ সার্টিফিকেট ক্লিয়ার না থাকলে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়। এক্ষেত্রে জরিমানা ১০০০০ টাকা এবং তার সাথে তিন মাসের জন্যও ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের সম্ভবনা।

শারীরিক ও মানসিক অযোগ্য অবস্থায় বাইক চালিয়ে ট্রাফিকের সমস্যা তৈরি করলেও দিতে হবে জরিমানা। এক্ষেত্রে জরিমানার পরিণাম ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা। আম্বুলেন্স সহ যে কোন জরুরিযান পরিবহনে বাঁধা সৃষ্টি করলেও গুনতে হবে জরিমানা। এক্ষেত্রে প্রথমবার অপরাধে জরিমানা ১০০০ টাকা এবং পরবর্তীবারের ক্ষেত্রে জরিমানা ১০০০০ টাকা।

নাবালকের বাইক চালানোর ক্ষেত্রেও থাকছে জরিমানা। এই আইনে বলা হয়েছে নাবালকদের ক্ষেত্রে প্রথমবার অপরাধে জরিমানা ২৫০০ টাকা। পরবর্তী সময়ে একই অপরাধ করলে জরিমানা ২৫০০০ টাকা। সেই সঙ্গে ৩ বছরের কারাদণ্ড, এক বছরের জন্য বাইকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ঐ নাবালকের নামে ২৫ বছরের আগে লাইসেন্স ইস্যু হবেনা।

বাইকে ওভারলোডিংয়ের অপরাধে বাইক চালকের ২০০০ টাকা জরিমানা এবং তার সাথে লাইসেন্স বাতিলের বিধান আছে। রেজিস্ট্রেশানহীন কোন বাইক চালালে চালকের জন্য প্রথমবার ৫০০০ টাকা জরিমানা এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা জরিমানা থাকছে।

কোন বাইক চালক সাইলেন্ট জোনে হর্ন বাজালে তার ২০০০ টাকা জরিমানা এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে ৪০০০ টাকা জরিমানা হয়।

এই জরিমানার টাকা অনলাইনে জমা করা যায় কিংবা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে গিয়েও জমা করা যায়। তবে, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক লোকআদালত কর্মসূচির মাধ্যমে সমস্ত জরিমানার টাকা জমা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *