Applications for the SVMCM Scholarship are now open. about the details. (স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপের আবেদন চলছে)

পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের কাছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ হল স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মেধাবী ও দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আশীর্বাদ এই স্কলারশিপ। অর্থের অভাবে মেধাবী পড়ুয়াদের পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয়, তাই এই স্কলারশিপ প্রদান করে রাজ্য সরকার। এই স্কলারশিপের দিকে তাকিয়ে থাকেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী।

বিগত বাম সরকারের আমলে এই স্কলারশিপ প্রদান শুরু হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে, এই স্কলারশিপের আমূল পরিবর্তন করেন। স্কলারশিপের নাম পরিবর্তন, যোগ্যতা ও বৃত্তির পরিমাণ সবই নতুন করে পরিবর্তন করেন রাজ্যের বর্তমান প্রশাসনিক প্রধান। বিকাশ ভবন স্কলারশিপ নামে পরিচিত এই বৃত্তির আর্থিক সহায়তায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের অধীনে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

এই স্কলারশিপের বেনিফিট:- মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বছরে ৬০০০ টাকা থেকে ৬০০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারেন । উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভিন্ন কোর্সের ক্ষেত্রে বৃত্তির পরিমাণ বিভিন্ন। এমনকি, সায়েন্স, আর্টস এবং কমার্স কোর্সের জন্যও বৃত্তির টাকার পরিমাণ ভিন্ন। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতককোর্সের জন্য প্রথম বছর আবেদন করলেই পরের বছর গুলি এমনিতেই রিনিউয়াল হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা জমা হয়।

আরও পড়ুন:- বিহারের পর বাংলায় হতে চলেছে SIR, দেখে নিন কি ডকুমেন্টস লাগবে।

এই স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা:- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতকের ফাইনাল পরীক্ষায় ৬০% মার্কস পেতে হবে (আগে ইহা ছিল ৭৫%)। আবেদনকারীর পারিবারিক বাৎসরিক আয় হতে হবে ২.৫ লাখ টাকার নিচে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা, নার্সিং, ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসি ও MBBS স্টুডেন্টরাও আবেদনের যোগ্য।

এই স্কলারশিপের উদ্দেশ্য:- স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রদানের পিছনে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য আছে। রাজ্যের কোন ছাত্র-ছাত্রী যাতে টাকার অভাবে পড়াশুনা বন্ধ না করে সেটাই মূল লক্ষ্য। মেধাবী ও দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক সাহায্য করা সরকারের উদ্দেশ্য। আর্থিক অনটনের কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেটা সুনিশ্চিত করা। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করা।

এই স্কলারশিপ আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:- মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার মার্কশিট, আধার কার্ড, পারিবারিক বার্ষিক ইনকাম সার্টিফিকেট, ব্যাংক একাউন্ট, মোবাইল নং এবং স্কুল বা কলেজ কোর্সের প্রমানপত্র ।

এই স্কলারশিপ আবেদনের পদ্ধতি:- পূর্বে এই স্কলারশিপের আবেদন অফলাইনে হতো। নির্দিষ্ট ফরম ফিলাপ করে কলকাতার সল্টলেকের বিকাশ ভবনে জমা করতে হত। কিন্তু এখন নিয়ম পাল্টে গেছে। বর্তমানে এই স্কলারশিপের আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে হয়। প্রতিবছর আগষ্ট- সেপ্টেম্বর মাসে এই ফরমফিলাপ শুরু হয়। এই ফর্মফিলাপের শেষ হয় নভেম্বর – ডিসেম্বর মাসে।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:- https://svmcm.wb.gov.in/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *