Start new business of clothes with small capital before Durga Puja (পুজোর আগে অল্প পুঁজিতে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করবেন)

বর্তমান সময়ে রাজ্য ও দেশ জুড়ে কর্মসংস্থানের আকাল চলছে। দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকার হয়ে বসে আছে। সরকারি ও বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই কর্মসংস্থান প্রায় নেই বলতেই চলে। এই দুর্দিনে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার যুক্তি দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই সময় ব্যবসা বলতে পোশাকের ব্যবসার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। শুধু যুবকরা নয়, যুবতীরাও এই ব্যবসা উন্নতি করছেন। পোশাকের ব্যবসার মধ্যে মহিলাদের শাড়ি, নাইটি, সায়া ও ব্লাউজ পোশাকের ব্যবসার ডিমান্ড বাড়ছে। সেই সাথে পুরুষ ও বাচ্চাদের প্যান্ট, শার্ট, টি- শার্ট, গামছা ও লুঙ্গির ব্যবসারও গুরুত্ব পাচ্ছে। সামনেই পুজো, দুর্গাপুজা, লক্ষ্মীপুজো ,কালীপুজো, ভাইফোঁটা, কার্তিক পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং বিয়ের মরসুম। এই সময় পোশাক ব্যবসার হাই ডিমান্ডে থাকে। তার আগে অল্প পুঁজিতে কাপড়ের ব্যবসা খোলার সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক।

ব্যবসার গবেষণা:- ব্যবসা শুরু করার আগে সিদ্ধান্ত নিন কোন ব্যবসা করবেন। সেই ব্যবসা নির্বাচন করুন যার সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান আছে। তবেই আপনি উন্নতি করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- টাকা তুলতে গিয়ে ATM কার্ড বা টাকা আটকে গেছে? জানুন সমাধানের উপায়

ব্যবসার পরিকল্পনা:- ব্যবসা শুরু করার আগে নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগের পুঁজি, স্টক সেন্টার, দোকান ও মার্কেট সম্পর্কে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।

ব্যবসার ট্রেন্ড বাছাই:- প্রথমে ব্যবসা শুরু করার সময় একটি কিংবা দুটি ট্রেন্ডের পোশাকের উপর জোর দিতে হবে। বর্তমান সময়ে টেন্ডিংয়ে চলা পোশাক দিয়ে শুরু করুন। মহিলাদের নাইটি, শাড়ি , প্লাজো, লেহেঙ্গা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। ফেব্রিকের কাজ করা ব্লাউজ ও নারী-পুরুষের টি-শার্ট দিয়েও শুরু করতে পারেন।

ব্যবসার প্রতিষ্ঠান:- আলাদা করে দোকান করে ব্যবসা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ খরচ বাড়বে। তবে বাড়িতেই পণ্য স্টক করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে খরচ অনেক কমবে।

বিসনেস এন্টিটি:- যদি আপনার কাছে বিনিয়োগের পুরো মূলধন থাকে তাহলে নিজের মূলধন দিয়েই সরাসরি বিনিয়োগ করুন। কিন্তু যদি মূলধন নিয়ে সমস্যা থাকে, তাহলে পরিবারের সদস্য, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির সাথে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও বিনিয়োগ করতে পারেন।

ব্যবসার লাইসেন্স:- ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই সরকারে খাতায় নাম নথি ভুক্ত করতে হবে। আপনার পৌরসভা কিংবা পঞ্চায়েত থেকে ট্রেড লাইসেন্স রেজিস্টার্ড করতে হবে। সেই সাথে GST নিবন্ধক করতে হবে। এতে ব্যবসার ঋণ পেতে সুবিধা হবে।

পণ্য সংগ্রহ:- নিজের ব্যবসায় পণ্য পোশাক আপনি কলকাতার বড়বাজার, খান্না কিংবা হাওড়ার মঙ্গলা হাট থেকে গাঁট হিসাবে কিনতে পারেন। মুম্বাই থেকেও অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকেই অর্ডার করবেন। ট্রেলারিং মেশিন ও ফেব্রিকের কাজ জানা থাকলে নিজেই পোশাক তৈরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কাস্টমারের ডিমান্ড অনুযায়ী পণ্য তৈরি করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ কম পড়বে, তাই বাড়তি মুনাফা হতে পারে।

ডেলিভারি মাধ্যম:- নিজের দোকান প্রতিষ্ঠান থেকেই বিক্রি করতে পারেন। ব্যবসার পরিসর একটু বাড়াতে চাইলে নিজের সাইকেল, বাইক, টোটো কিংবা ছোট গাড়ির মাধ্যমে ডেলিভারি বা হকারী করতে পারেন। বৃহত্তম ক্ষেত্রের পরিসরের ক্ষেত্রে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থা কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি করতে পারেন।

ব্যবসার বিজ্ঞাপন:- বর্তমান সময়ে বিজ্ঞাপন ব্যবসায়িক উন্নতির একটি অন্যতম বিষয়। তাই আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার বিজ্ঞাপনের উপর জোর দিতে হবে । অফলাইনে বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার লোকালিটিতে পোস্টার ও ফেস্টুন লাগাতে পারেন । সেই সঙ্গে আপনার লোকালিটিতে হ্যান্ডবিল বিতরণ করতে পারেন। স্থানীয় মেলা, সরাসরি অনুষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ক্যাম্প করে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। লোকাল কেবিল টিভি চ্যানেল কিংবা নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে বর্তমানে অনলাইন বিজ্ঞাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। তাই নিজের সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামকে ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে প্রতিদিন ছবি,পোস্টার, ভিডিও পোস্ট করে ও লাইভ ভিডিও করে নিজের ব্যবসায় পণ্যের বিজ্ঞাপন দেবেন। সোস্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপনের জন্য নিজে কিংবা নিজের পরিচিত ব্যক্তিকে মডেল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এই সমস্ত উপায় গুলি অবলম্বন করলেই আপনার ব্যবসার উন্নতি ঘটবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *