বর্তমান যুগে বীমা বা ইন্স্যুরেন্সের গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। সাধারণ মানুষ জীবন বীমা এবং স্বাস্থ্য বীমাতে ইনভেস্ট করছেন। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্য বীমাতে চিকিৎসা করিয়ে উপকৃত হচ্ছেন । সেই সঙ্গে, হঠাৎ কোন ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা দিচ্ছে জীবন বীমা। সেই কারণেই দিন দিন বিমার প্রতি মানুষের ভরসা বাড়ছে। এই বীমা স্কিম গুলির মধ্যে অন্যতম হল টার্ম ইন্স্যুরেন্স।
টার্ম ইন্স্যুরেন্স হল এমন এক জীবন বীমা পলিসি যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পলিসিধারী ব্যক্তির জীবনকে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে থাকে। টার্ম ইন্স্যুরেন্স হল বীমাধারী ব্যক্তি ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি যেখানে পলিসিধারী নিয়মিত বিমার প্রিমিয়াম জমা করেন। মেয়াদ চলাকালীন বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে আর্থিক সুবিধা বা ডেথ কভারেজ দেওয়া হয়। কিন্তু বীমা মেয়াদের পর ঐ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে তিনি কোন সুবিধা পাওয়া যায়না।
টার্ম ইন্স্যুরেন্স কিভাবে কাজ করে দেখে নেওয়া যাক:- এই ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে বিমাকৃত ব্যক্তি ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মেয়াদ ১০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। বীমাকৃত ব্যক্তিকে মাসিক, ত্রৈরাশিক, অর্ধবর্ষ ও বার্ষিক নিয়মে প্রিমিয়াম জমা করতে হয়। বীমা মেয়াদের মধ্যে বীমাকারী ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বীমা কোম্পানি তার পরিবারের নমিনীকে একটি বড় অঙ্কের টাকা ডেথ কভারেজ হিসাবে আর্থিক সহায়তা করেন। এই টাকার দ্বারা ঐ ব্যক্তির পরিবার ঋণ শোধ, সন্তানের পড়াশুনা, মেয়ের বিবাহ ও বাড়ি-গাড়ি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। যদি কোন বীমাকৃত ব্যক্তির মেয়াদ চলাকালীন মৃত্যু না ঘটে তাহলে তিনি কোন আর্থিক সুবিধা পাননা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা ফেরত পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:- কবে থেকে শুরু হবে ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনের বিগ বিলিয়ন ডের বিশেষ সেল? জেনে নিন এখনই।
টার্ম ইন্স্যুরেন্স বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন – লেভেল প্রিমিয়াম, ইয়ারলি রিনিউএবল টার্ম পলিসি ও গ্যারান্টিযুক্ত ইস্যু।
টার্ম ইন্সুরেন্সের সুবিধা- সাধারণ জীবন বীমার তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। কম প্রিমিয়ামে এই বীমা করা যায়। এই পলিসি গুলি খুবই সহজ ও সহজলভ্য। এই পলিসির মেয়াদ গুলি খুবই কমফোটেবল। এমনকি এই পলিসি থেকে অন্য পলিসিতে সহজে রূপান্তর করা যায়।
এই টার্ম পলিসি সম্পর্কে আরও জানতে আপনার নিকটবর্তী বীমা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এমনকি আপনার পরিচিত বীমা এজেন্টের থেকেও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।