What are the benefits of filing Income Tax Return (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলের সুবিধা)

ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল আমরা অনেকেই প্রতিবছর করি। অনেক মানুষ আবার ITR ফাইলস নিয়ে ভয়ে থাকেন। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন হল এমন একটি নথি যেখানে একজন আয়কর দাতা একটি নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে তার নিজের আয়করের বিবরণ, আয়করের উপর ট্যাক্স এবং কর ছাড় সব ঘোষণা করেন। তাই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবছর নিজেদের আয়ের উপর ভিত্তি করে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করেন। অনেক মানুষের আয় সরকার প্রদত্ত ইনকাম ট্যাক্স স্লাবের নিচে হলেও তারা জিরো ব্যালান্স হিসাবে তারা আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন। একজন ব্যক্তি তার পরিচিত ইনকাম ট্যাক্স বিশেষজ্ঞর কাছে তার পরামর্শে নিজের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করেন।

ইনকাম ট্যাক্স ফাইলের সুবিধাগুলি,

১) ঋণের অনুমোদন:- সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক সংস্থার থেকে মানুষজন প্রায় ঋণ নিয়ে থাকেন। যেমন -পার্সোনাল লোন, হোমলোন ও কারলোন ইত্যাদি। ঋণ অনুমোদনের আগে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা ঋণ গ্রহীতার ঋণ পরিশোধের অর্থনৈতিক ক্ষমতা যাচাই করেন। আপনার লোন পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে আপনার বার্ষিক আয়ের উপর। সেখানেই আয়কর রিটার্নস আপনার বিগত কয়েক বছরের আয়ের প্রমাণপত্র। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সহজেই ঋণ অনুমোদন করা হয়।

২) কর ফেরতের দাবি:- আপনার ফিক্সড ডিপোজিট, রেন্ট ইনকাম ও স্যালারি আয়ের সুদ থেকে কর(TDS) কাটা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে আপনার মোট আয়ের উপর প্রদেয় করের চেয়ে TDS কাটা যেতে পারে । অথচ ঐ বছর আপনার কর প্রদানের কোন দায় থাকেনা। সেক্ষেত্রে ঐ বাড়তি TDS ফেরতের জন্য আপনাকে আয়কর রিটার্ন ফাইলস করতে হবে।

আরও পড়ুন:- LIC জীবন বীমাতে ইনভেস্ট করতে চলেছেন? দেখে নিন LIC – এর সেরা ৫ টি পলিসি।

৩) ঠিকানা ও আয়ের প্রমাণপত্র:- ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল একজন ব্যক্তির আয় ও তার ঠিকানার প্রমানপত্র। এই ফাইল একজন ব্যক্তির এদেশে স্থায়ী বাসিন্দা পরিচয় পত্র হিসাবে কাজ করে । আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ও পাসপোর্টের মতোই এটিকে ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪) ভিসা আবেদনের সুবিধা:- কোন ব্যক্তির ব্যবসা, কাজ, বেড়ানো ও চিকিৎসার কাজে বিদেশ ভ্রমণে যেতে হয়। বিদেশে যাওয়ার জন্য তার ভিসা লাগে। কোন দেশের দূতাবাস সেই দেশের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর গত কয়েকবছরে ইনকাম ট্যাক্স ফাইলের কাগজ জমা করতে বলেন। এখানেই একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরফলে সহজেই ভিসার অনুমোদন পাওয়া যায়।

৫) আয়ের ক্ষতি সামলানো:- কোন ব্যক্তি যদি নিশ্চিত আয়ের পেশার সাথে যুক্ত না হয় তাহলে তার ইনকামের ক্ষেত্রে অনেক সময় ক্ষতির সম্ভবনা দেখা যায়। যেমন – শেয়ারবাজারের আয়, ব্যবসার আয় ও বাড়ি ভাড়ার আয় অনেক সময় হঠাৎ হঠাৎ কমে। বছরের নির্দিষ্ট সময় ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল জমা দিলে ঐ আয় কমার জন্য আপনার আয়কর কমতে পারে।

৬) সরকারি দরপত্র গ্রহণ:- ঠিকাদারি কর্মীরা সরকারি কাজের টেন্ডার নিয়ে থাকেন। একটি কোম্পানিকে টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন সরকারি সংস্থা তার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলের প্রমাণপত্র যাচাই করেন। সেক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলের সংস্থা সহজেই টেন্ডার পান।

৭) টার্ম ইন্স্যুরেন্স কেনা:- টার্ম ইন্স্যুরেন্স পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য বীমা প্রদানকারী ব্যক্তি আবেদনকারীর বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র হিসাবে তার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল দেখতে চান। ঐ বিমার কভারেজের পরিমাণ ব্যক্তির আয়ের উপর নির্ভর করে।

৮) স্টার্ট আপ ভেঞ্চারের সুবিধা:- নতুন কোম্পানি চালু করার ক্ষেত্রে বাইরের ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লাভজনক দিক দেখার জন্য তার ITR ফাইল প্রয়োজন হয়।

৯) আর্থিক লাভের সুবিধা:- কোন নিয়োগকর্তা তার কর্মচারীদের আয়ের প্রমাণপত্র হিসাবে ফরম -১৬ প্রদান করে। আর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল হল তার আয়ের প্রমাণপত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *