What is a mutual fund? And what role does a mutual fund play in investment. (মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে ঝোঁক বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের। জেনে নিন কিভাবে বিনিয়োগ করতে হয়)

বর্তমান ৫ জির যুগে তরুণ প্রজন্ম দ্রুত এগিয়ে যেতে চায়। ডিজিটাল যুগে দ্রুত ও বেশি লাভের দিকে নজর সকলের। সেই কারণেই দিন দিন মিউচুয়াল ফান্ডের আকর্ষণ বাড়ছে। নতুন প্রজন্ম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। শহর থেকে গ্রামে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

মিউচুয়াল ফান্ড:- এই মিউচুয়াল ফান্ড হল বিনিয়োগের মাধ্যম , যেখানে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সেই অর্থ তহবিল শেয়ার, বন্ড ও ইকুইটি সহ অন্য মানি মার্কেটের উপকরণের মতো সিকুরিটিজ পুলে বিনিয়োগ করে। এই তহবিল বিনিয়োগ করেন পেশাদার বিনিয়োগকারী। সেই বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লাভ সকল বিনিয়োগকারীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। ভারতে প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড হল UTI, ইহা প্রতিষ্ঠা হয় 1964 সালে। তবে, বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম মিউচুয়াল ফান্ড হল SBI মিউচুয়াল ফান্ড।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে পদ্ধতি:-
১) মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারী কাস্টমারের KYC অর্থাৎ KNOW YOUR CUSTOMER প্রোসেস করতে হবে।
২) মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য AMC অর্থাৎ অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বেছে নিতে হবে। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি AMC আছে। যেমন – ICICI ব্যাংক, আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল এবং বাজাজ ফাইন্যান্স।
৩) এই মিউচুয়াল ফান্ডে একজন ব্যক্তি একবারে বড় এমাউন্ট ইনভেস্ট করতে পারবে। এছাড়া, SIP অর্থাৎ সিস্টেমিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে ছোট ছোট প্ল্যানে ইনভেস্ট করা যায়।
৪) একজন ব্যক্তি AMC অফিসে সরাসরি গিয়ে কিংবা সেই কোম্পানির পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি জমা করে ইনভেস্ট করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপের আবেদন চলছে। কিভাবে আবেদন করবেন?

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:- মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে KYC অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। KYC করার জন্য বিনিয়োগকারীর আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট ও মোবাইল নং প্রয়োজন। আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নং সংযুক্তি থাকা আবশ্যিক।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ঝুঁকি:-
১) শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ সর্বদা ঝুঁকিপূর্ণ। হঠাৎ করে আপনার বিনিয়োগের মূল্য কমে যেতে পারে। আপনার লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে।
২) মিউচুয়াল ফান্ডে সুদের হার কমতে পারে আবার বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগের মূল্য কমতে পারে আবার বাড়তে পারে।
৩) ক্লোজ এন্ডেড ফান্ডে বিনিয়োগের সময় আপনার বিনিয়োগকৃত টাকা নগদে ফেরত পেতে সমস্যা হয়।
৪) মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পারফরম্যান্স নির্ভর করে ফান্ড ম্যানেজারের দক্ষতার উপর। আপনার ম্যানেজারের ভুল সিদ্ধান্তে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সর্বদা ঝুঁকিপূর্ণ। মিউচুয়াল ফান্ড বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *